গাইবান্ধায় ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি দাদন ব্যবসায়ী কাঞ্চন পলাতক

আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১:০৪ অপরাহ্ন, ১৩ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ৪:১২ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আশিকুর রহমান রকিকে ছুরিকাঘাতে হত্যায় ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় দাদন ব্যবসায়ী কাঞ্চনকে প্রধান আসামি করে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। ১২ জুলাই সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানায় রকিকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন তার বড় ভাই আতিকুর রহমান সরকার। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে প্রধান আসামি কাঞ্চনসহ তার সহযোগীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, দুপুরে নিহতের বড় ভাই বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এতে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে আসামিরা। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে আসামিরা রকিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। তবে পুরো ঘটনা তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানোর কথা জানান ওসি। এদিকে, রকি হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বজন, দলীয় নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসী। তারা বলছেন, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে মেধাবী ছাত্রনেতা রকি। দ্রুত হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসী ও দাদন ব্যবসায়ী কাঞ্চনসহ সব আসামিদের গ্রেফতার করে তাদের ফাঁসির দাবি জানান তারা।

এছাড়া রকি হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে শোকপালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে, হত্যা মামলার প্রধান আসামী দাদন ব্যবসায়ী কাঞ্চন মিয়া ও তার বোনের বাসায় সোমবার রাতে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। উল্লেখ্য, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের পূর্বপাড়ার হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে দিয়ে আশিকুর রহমান রকিসহ তিনজন মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন।

এ সময় হঠাৎ করে তাদের উপর হামলা করে কাঞ্চনসহ তার সহযোগীরা। এতে ছুরিকাঘাতে রকিসহ তিনজন আহত হয়। পরে তাদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রকিকে মৃত ঘোষণা করেন।

ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে রকির মরদেহ তার বাড়িতে নিয়ে যায় স্বজনরা। বাদ আছর তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।