করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দায়িত্ব পেলেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০৬ জন কর্মকর্তা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ন, ৩০ জুন ২০২১ | আপডেট: ৪:৩৪ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০৬ জন কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার।আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) থেকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আজ বুধবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করেছে। এতে দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১০(৫) ধারা অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ৫ ধারা মোতাবেক বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আওতাধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে ১ জুলাই থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে লকডাউন বা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এই সময়ে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

এতে আরও বলা হয়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার নিয়োগ ও টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি সময় নির্ধারণ করবেন। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কোনো কার্যক্রমের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।