মাটিরাঙ্গার গোমতীতে প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে ৩৮পরিবার আনন্দিত, প্রপাগাণ্ডাকারীর বিরুদ্ধে মামলা

আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:১১ পূর্বাহ্ন, ০২ অগাস্ট ২০২১ | আপডেট: ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার ৪নং গোমতী ইউনিয়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে ৩৮পরিবারে আনন্দের হাসি, নির্মানাধীন ঘর নিয়ে মিথ্যে প্রপাগাণ্ডাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন।

রবিবার(০১ আগস্ট ) সকালে সরেজমিনে, উপজেলার ৪নং গোমতী ইউনিয়নের স্বপ্নের ঠিকানা প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর পাওয়া অসহায় হত-দরিদ্র,গৃহহীন ও ভূমিহীন পাহাড়ি-বাঙালী পরিবারের সদস্যদের মুখে আনন্দের হাসি দেখা গেছে। এদিকে ২নং ওয়ার্ডের শান্তিপুর ছাদেক চেয়ারম্যান পাড়ার আসলাম মিয়ার স্ত্রী ফুলমতি বিবির নামে নির্মাণাধীন একটি ঘর দেখা গেছে।

এ এলাকায় সেলিনা বেগম নামে কাউকে বা এ নামে বরাদ্দ কোন ঘর পাওয়া যায় নি। ৪নং গোমতী ইউনিয়নের উপকারভোগী লক্ষ্মী চরণ মাস্টার পাড়ার চন্দ্রকেতু ত্রিপুরা, চন্দ্রহার কার্বারী পাড়ার সুনীল বিকাশ ত্রিপুরা, বি কে পাড়ার বিশ্ব রানী ত্রিপুরা, সুমন ত্রিপুরা, বাহাদুর পাড়ার আক্তার হোসেন, খাদা পাড়ার মনো দাস ত্রিপুরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর চেয়ারম্যান মেম্বারগণ স্বচ্ছতার সাথে বুঝিয়ে দেয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।

আমদের জন্য ঘরের ব্যাবস্থা করে দেয়ায় আমরা প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। চেয়ারম্যান ও সকল মেম্বারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা সহিত ধন্যবাদ জানান সুবিধা ভোগীরা। মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) রাজ কুমার শীল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেছি।

৪নং গেমতী ইউনিয়নে অসহায় হত-দরিদ্র মানুষের জন্য ৩৮টি গৃহ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণে স্বচ্ছতা আনতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ৪নং গেমতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন বলেন, এ ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৩৮টি ঘরের মধ্যে ১৫টি ঘর সুবিধা ভোগীদেরকে বুখিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ২৩টি ঘর আগামী ১সপ্তাহের মধ্যে সুবিধা ভোগীদেরকে বুঝিয়ে দিতে স্বচ্ছতার সাথে কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, চলমান এ ঘরের কাজে বিঘ্ন ঘটাতে একটি মহল অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে শান্তিপুর ছাদেক চেয়ারম্যান পাড়া ২নং ওয়ার্ড ফুলমতি বিবি স্বামী আসলাম মিয়ার নামে বরাদ্দ ঘরটি নির্মাণাধীন। সেলিনা বেগম নামে একটি ভাড়াটিয়া মহিলাকে ওই ঘরের মালিক সাজিয়ে নির্মাণ কাজে ঘরের বারান্দার পিলার নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত করে অনিয়ম দেখাতে ও ঘর পেতে চেয়াম্যানকে টাকা দেয়া হয়েছে মর্মে বিভ্রান্তীমূলক প্রপাগাণ্ডা চালিয়েছে একটি চক্র। মূলত এ নামে কোথাও কোন ঘর বরাদ্দ নেই।

এ নামে কাউকে আমি চিনিও না। সোশ্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার হওয়ার পর ইউএনও মো. হেদায়ত উল্লাহ এলাকা পরিদর্শনে আসেন। ঘর পেতে চেয়ারম্যানের হাতে সরাসরি টাকা দেয়ার অভিযোগকারী মহিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কে চেয়ারম্যান তা সনাক্ত করতে ব্যার্থ হয়। আমিও এ মহিলাকে চিনি না।

একটি কুচক্রী মহল নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার ভাব-মূর্তি ক্ষুন্ন করার হীণস্বার্থে লিপ্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই মিথ্যা তথ্যে অপপ্রচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। এ চক্রটির অপতৎপরতা উদ্দেশ্য প্রণোদিত যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।