করোনার কারণে ঈদের সময় থাকবে কি কঠোর বিধিনিষেধ?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৭ অপরাহ্ন, ০৬ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১১:৫৭ অপরাহ্ন, ০৬ জুলাই ২০২১

করোনাভাইরাসের ভয়াল রূপ দেখা বাংলাদেশে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। এ অবস্থায় কঠোর বিধিনিষেধ আরো সাত দিন বাড়ানো হলো। তবে এই সাত দিন শেষে বিধি-নিষেধ আরো বাড়ানো হবে কি না- তা নিয়ে সবার ভিতরে কৌতুহল কাজ করছে।

আবার ঈদের তিন দিনের ছুটি বাড়বে কি না, লকডাউন না থাকলে ঈদের ছুটি বাড়বে কি না, ছুটি থাকলে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে কি না- ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীর পাশাপাশি ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে তুমুল আলোচনা চলছে।

ঈদের সময় লকডাউন থাকছে কি না- প্রশ্নে জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সব কিছুই নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর।

সোমবার (৫ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করে চলমান লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এদিকে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২০ বা ২১ জুলাই ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদের তারিখ নির্ধারণে আগামী ১১ জুলাই বসবে চাঁদ দেখা কমিটি। তবে ঈদ ২১ জুলাই ধরে সরকারি ছুটি ২০-২২ জুলাই (মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার) তিন দিন ধরা আছে। এই হিসাবে সরকারি ছুটি থাকবে পাঁচ দিন। 

সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের তথ্য মতে, এসব কঠোর পদক্ষেপ দিয়ে ১৪ দিনে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমিয়ে এনে ঈদের সময়টায় সব কিছু শিথিল করার পরিকল্পনা সরকারের। যাতে ব্যবসায়ী, গণপরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা অন্য পেশার মানুষ আনন্দ-উৎসব করতে পারে।

এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মানুষকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে এই বিধি-নিষেধ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে মানুষ যদি বিধি-নিষেধ মেনে চলে, তাহলে সামনে সুফল পাওয়া যাবে। এ জন্য আমাদের সবাইকে সরকারি বিধি-নিষেধ মানতে হবে।

তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে, ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে কিছু শর্ত শিথিল করে যেমন- স্বাস্থ্যবিধি মেনে বা প্রয়োজনীয়সংখ্যক জনবল নিয়ে অফিস-আদালত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন চালু, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এই অবস্থা এক সপ্তাহ বা দশ দিন অব্যাহত রেখে হয়তো আবারও কঠোর বিধি-নিষেধ দেওয়া হতে পারে।