ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পন্ন হলে খোলা হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়: সংসদে বললেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ন, ২৯ জুন ২০২১ | আপডেট: ৭:২৫ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পন্ন হলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। আর সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে খুলে দেওয়া হবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ঘরে বসে টেলিভিশনের মাধ্যমে দূরশিক্ষণের কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। এতে করে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ এক বছর শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখা সম্ভবপর হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের সকল নাগরিককে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি। কাজেই ভ্যাকসিন সংগ্রহে যত টাকাই লাগুক না কেন আমরা সেই টাকা দেব। পর্যায়ক্রমে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে জীবন-জীবিকার সুরক্ষা দেওয়া এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে কোনো উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন হলে দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব এবং মানুষের পাশে আমরা দাঁড়াব।

তিনি বলেন, আমি ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছি সরকার দেশের সকল নাগরিকের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান নিশ্চিত করবে। এই লক্ষ্যে ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য যত টাকাই লাগুক না কেন আমরা সে টাকা দেব।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন কেনার জন্য বাজেটে আমরা ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি। বিভিন্ন উৎস হতে ইতোমধ্যে এক কোটি ১৪ লাখ ৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যখন ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছিল পৃথিবীর সব জায়গায়। আমরা যোগাযোগ করি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দেওয়ার আগেই আমরা টাকা পাঠিয়ে ভ্যাকসিন বুক করেছি। দুর্ভাগ্যজনক যে ভারতে হঠাৎ করোনা এতো ব্যাপকহারে বেড়ে গেল যে তারা ভ্যাকসিন রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা সাময়িকভাবে সমস্যায় পড়ে গেছি। কিন্তু আল্লাহর রহমতে বর্তমানে আমাদের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। এখন আর কোনো সমস্যা হবে না।

‘চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সব কম্পানির সাথে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে। আশা করছি, জুলাই মাস থেকে আরো ভ্যাকসিন আসবে। ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করবো।