মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের বুনিয়াদ ঠিক রেখে সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

newsdesk
newsdesk newsdesk
প্রকাশিত: ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, ০১ মে ২০২৪ | আপডেট: ৬:৫৪ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে বুনিয়াদ, সেটি ঠিক রেখে রাষ্ট্রের প্রতি, দেশের প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
 মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৪১তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে নবযোগদানকৃত কর্মকর্তাদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, মো. মজিবুর রহমান ও তন্ময় দাস, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন, পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
 তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যে চিন্তা-চেতনা ও আদর্শ সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্ম, সেটার প্রতি আমাদের সবার আনুগত্য থাকা বাঞ্ছনীয়। একটা দেশ তার সংজ্ঞা তৈরি করে, সে কি রকম দেশ হবে। বাংলাদেশের সংজ্ঞা তৈরি হয়ে গেছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। এ স্বাধীন দেশে ৩০ লক্ষ শহিদ ও ২ লক্ষ নির্যাতিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের ওপর দাঁড়িয়ে যে সংজ্ঞা নির্ধারণ হয়েছে, সেই সংজ্ঞার ওপর আমাদের অটল থাকতে হবে। এই মূল জায়গায় অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রশ্নে, বাংলাদেশের জন্মের প্রশ্নে কোন আপোষ করা যাবে না। এটিকে দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে চিন্তা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র, দেশ সবার আগে। রাষ্ট্রের স্বার্থ সংরক্ষণ সরকারি কর্মকর্তাদের মূল দায়িত্ব। তবে, গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র কাঠামোতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে সরকার গঠন করে। সে দলের যে ভিশন বা ইশতেহার থাকবে সেটা বাস্তবায়নের একটা দায়বদ্ধতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে, আইন-কানুন, বিধি ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন,  সরকারের যেকোনো পর্যায়ে স্বজনপ্রীতির উর্ধ্বে উঠে পেশাদারিত্বের সাথে, ন্যায্যতার সাথে সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি। একইসাথে দেশের স্বার্থে আপোষহীন দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার।  নবযোগদানকৃত কর্মকর্তাদের এ বিষয়গুলো অনুশীলনের মাধ্যম শিখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছেন, তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক হয়ে গেছেন। রাষ্ট্রের মালিকপক্ষ অর্থাৎ জনগণের সেবক হয়ে গেছেন। সে চিন্তা ধারা নিয়ে নবীন কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা খুবই জরুরি। নবীন কর্মকর্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পদক্রমিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। প্রশাসনিক কাজের মধ্যে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থাকা যাবে না, কিন্তু সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। সুন্দরভাবে এই সমন্বয় করাটা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই জরুরি।
পরিচিতি অনুষ্ঠান শেষে ৪১তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে নবযোগদানকৃত ৪০ কর্মকর্তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।